রসায়ন নিয়ে মজার অনেক কাজ করা যায় যেগুলোকে
অনেকে ম্যাজিকও বলে। শিরোনাম দেখই বুঝা যাচ্ছে এই পোষ্ট রসায়নরে কিছু মজার
বিষয় নিয়ে । খেলাগুলো ছোট ছোট হলেও আর্শ্চযজনক। চলুন দেরি না করে এক
নজরে দেখে ফেলি কি কি বিষয় নিয়ে লেখা হয়েছে আজকের পোষ্টটি।
১)বিলীয়মান রঙ
২)জলের মধ্যে শুস্কতা
৩)অন্ধকারে আলোক বিকিরণ
৪)পানির মধ্যে আগুন জ্বলা
১)বিলীয়মান রঙ
২)জলের মধ্যে শুস্কতা
৩)অন্ধকারে আলোক বিকিরণ
৪)পানির মধ্যে আগুন জ্বলা
বিলীয়মান রঙঃ
ফেনপথালিন (C20H14O4) পানিতে
মিশিয়ে এর মধ্যে লিকার এমোনিয়াম ফোর্ট বা চুনের পানির দ্রবণ যোগ করলে তা
থেকে এই আশ্চর্য রঙের সৃষ্টি হয় | যা কোনো সাদা কাপড়ে ছিটানুমাত্র তা
গোলাপী বর্ণ ধারণ করে | কিন্তু ঐ কাপড় শুকিয়ে গেলেই আবার আগের মত সাদা
হয়ে যায় |
জলের মধ্যে শুস্কতাঃ
লাইকোপোডিয়াম (Lycopodium) এক
প্রকার শেওলার রেণু । এই সূক্ষ্ম রেণু সমস্ত হাতে ভালভাবে লাগিয়ে নিয়ে
পানির মধ্যে হাত ডুবালে হাত আর্দ্র হয় না। এই ম্যাজিকটি অন্য ভাবেও করা
যায়, জিঙ্ক স্টিযারেট (Zn(C18H35O2)2) পাউডার লাগিয়ে হাত পানিতে ডুবালেও তা ভিজে না । এছাড়া ঘিয়ে ভাজা বালিও পানিতে নিমজ্জিত করলে তা শুষ্ক থাকে।
অন্ধকারে আলোক বিকিরণঃ
ক্যালসিয়াম সালফাইড (CaS), বেরিয়াম সালফাইড
(BeS), ট্রানসিয়াম সালফাইড, জিঙ্ক সালফাইড (ZnS) প্রভৃতি রাসায়নিক পদর্থের
আলোক শোষন ক্ষমতা আছে। এই সকল বস্তু কোনো উজ্জল আলোর সামনে কিছুক্ষন
রেখে আন্ধকারে নিয়ে গেলে তাদের থেকে আলোক বিকিরন ঘটতে থাকে।
একটি মাটির কলসে সমুদ্রের ঝিনুকের সংঙ্গে যথেষ্ঠ পরিমাণ গন্ধনচূর্ন মিশিয়ে কলসের মুখ বান্ধ করে কয়লার চুলায় ৪০-৫০ মিনিট প্রচণ্ড উত্তাপ দিলে আলোক বিকিরণকারী ক্যালসিয়াম সালফাইড তৈরি হয়।
পানির মধ্যে আগুন জ্বলাঃ
দুই গ্রেন পরিমান ধাতব পোটাসিয়াম নিয়ে যদি এক বালতি পানিতে নিক্ষেপ করা যায় তা হলে সঙ্গে সঙ্গে আগুন জ্বলে উঠবে।
এছাড়া পানিপূর্ন পাত্রের মধ্যে ফসফরাস রেখে যদি তার কাছে একটি সরু নল দিয়ে অক্সিজেন সরবরাহ করা যায় তাহলে জলের নীচে বড় সুন্দর অগ্নিগিরি দেখা যায়।
2K (s) + 2H2O (l) → 2KOH (aq) + H2 (g)
No comments:
Post a Comment