মুখের ত্বকে যে ৭টি জিনিস ভুলে ব্যবহার করবেন না

 

সুন্দর ত্বক পেতে আলু আর রসুনের যাদু

shajghor_Get beautiful skin potatoes and garlic Magicশিরোনাম দেখে অবাক হচ্ছেন তাই না? ভাবছেন আলু আর রসুন দিয়ে কীসের রূপচর্চা। এগুলো তো খাবার। আরও ভালো করে বললে সবজি আর মসলা! হ্যাঁ, এই সবজি আর মসলাই হতে পারে সুন্দর ত্বক পাবার এক দারুণ হাতিয়ার! আসুন, জেনে নিই-
আলুতেই ত্বকের আলো-
- আলু কেবল মজার সবজি নয়, আলু দারুণ ফেসমাস্ক ও স্ক্রাবার। বিশেষ করে শুষ্ক ও কালো ত্বকের জন্য আলু খুব ভালো একটি উপাদান।
- মুখ পরিষ্কার করার জন্য আলুকে থেঁতো করে নিন, তারপর ভালো করে ডলে ডলে মুখে মাখুন। ৪/৫ মিনিট ম্যাসাজ করবেন। ব্যাস, তারপর দেখুন কি পরিষ্কার একটা ঝকঝকে চেহারা।
- কাল দাগ দূর করার জন্য আলু বাটা কিংবা আলুর রস নিন, টার সাথে কাঁচা দুধ মিক্স করুন। এই মিশ্রণ ঘাড়, গলা, কনুই ইত্যাদি স্থানে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। কিছুদিন ব্যবহারেই দাগ-ছোপ কমবে।
সৌন্দর্য রক্ষাতে রসুন-
- রসুন ভরপুর ভিটামিন এ, সি ও ই-তে। যা কিনা ব্রণের সমস্যা দূর করা সহ ত্বকের আরও অনেকগুলো সমস্যা দূর করতে দারুণ কার্যকর।
- ব্রণের সমস্যা দূর করতে সামান্য রসুন মুখের ব্রনে ঘষুন, ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। ব্রণের জীবাণু নাশক উপাদান অচিরেই ব্রণটিকে বিলুপ্ত করে দেবে।
- অকাল বলিরেখা প্রতিরোধ করে টানটান ত্বক পাবার জন্য হাফ চামচ কর্ণ ফ্লাওয়ার, হাফ চামস চন্দন গুঁড়োর সাথে সামান্য লেবুর রস, তাজা রসুন বাটা ও কাঁচা দুধ মিশিয়ে ফেসমাস্ক তৈরি করুন ও সপ্তাহে একদিন করে ব্যবহার করুন।

 

রঙ ফর্সা করতে ঘরেই তৈরী করুণ “উইন্টার ফেয়ারনেস ক্রিম”

shajghor_Fairnessশীতকালে ত্বকে চলে আসে কালচে একটি ভাব। বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় শীতকালে অনেক কালো দেখায়। এটি আবহাওয়ার কারণে হয়ে থাকে। সেকারণে শীতকালে ত্বকের জন্য দরকার বিশেষ যত্নের এবং বিশেষ ত্বকের প্রসাধনী। বাজারে শুধুমাত্র শীতকালে ব্যবহারের জন্য নানা ফেয়ারনেস ক্রিম পাওয়া যায়। কিন্তু এইসকল কেমিক্যাল সমৃদ্ধ ক্রিমের রয়েছে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। তাই যদি প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি ক্রিম ব্যবহার করা যায় তাহলে সবচাইতে বেশি উপকার পাওয়া সম্ভব। রান্না ঘরের টুকিটাকিতেই খুব সহজে ঘরেই বানিয়ে নিতে পারেন সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক ‘শীতের ফেয়ারনেস ক্রিম’। আজকে চলুন দেখে নিই এই ক্রিম তৈরির বিশেষ পদ্ধতি।
যা যা লাগবে-
– ৮ টি কাঠবাদাম (আলমন্ড বাদাম)
– ১/৪ চা চামচ হলুদগুঁড়ো
– ১ চা চামচ দই
– ১ চা চামচ মধু
– আধা চা চামচ লেবুর রস
পদ্ধতি-
– কাঠবাদাম সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে বেটে নিন মিহি করে।
– এতে একটি একটি করে বাকি উপকরণ মেশান।
– খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন যাতে খুব মসৃণ একটি পেস্টের মতো হয়। ব্যস, হয়ে গেলো আপনার শীতের ফেয়ারনেস ক্রিম।
ব্যবহার বিধি-
– এই ক্রিমটি রাতে ব্যবহারের জন্য। তাই রাতে ঘুমুতে যাওয়ার আগে ব্যবহার করবেন।
– মুখ ভালো করে ধুয়ে এবং মেকআপ পরিষ্কার করে নিয়ে ক্রিম লাগাবেন।
– পুরো মুখে আঙুল দিয়ে ২-৩ মিনিট ক্রিমটি দিয়ে ম্যাসেজ করে নিন ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে।
– সকালে ঘুম থেকে উঠে কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন এবং গোলাপজল দিন মুখে।
– এরপর যেকোনো ময়েসচারাইজার ব্যবহার করুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক হয়ে উঠবে উজ্জ্বল ও সুন্দর।
– এই ক্রিমটি ১ সপ্তাহ ফ্রিজে রেখে সংরক্ষণ করা যাবে।
সূত্র: প্রিয় লাইফ

 

 

শীতে ত্বক ভালো রাখতে ঘরে তৈরি করুন বডি লোশন

shajghor_winter skinশীতে ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে আমরা হরেক রকমের ক্রিম, লোশন ইত্যদি ব্যবহার করে থাকি। এসব রাসায়নিকে ভর্তি প্রসাধনী যে আমাদের ত্বকের বারোটা বাজিয়ে দিতে পারে সেটা জানা কথা। কিন্তু শীতে ক্রিম না ব্যবহার করেও উপায় নেই। তাহলে কী করা যেতে পারে? নিজেই তৈরি করুণ বডি লোশন। লোশনটি তৈরি করতে আপনার নিজের রান্না ঘরটিই যথেষ্ট!
ঘরে তৈরি লোশন এর জন্য যা লাগবে-
– ৬ টেবিল চামচ নারিকেল তেল
– সিকি কাপ কোকো বাটার/ সাধারণ লবন ছাড়া মাখন
– ১ টেবিল চামচ ভিটামিন ই তেল
– সিকি চা চামচ এসেনশিয়াল ওয়েল (যে কোন ফ্লেভার)
যা করতে হবে-
১/ চুলায় কম আঁচে একটা সসপ্যান চড়ান। এর মাঝে নারিকেল তেল আর কোকো বাটার/ মাখন দিয়ে দিন। গলে না যাওয়া পর্যন্ত নাড়ুন।
২/ আচ থেকে নামিয়ে নিন। ভিটামিন এ তেল এবং এসেনশিয়াল অয়েল যোগ করুন।
৩/ ঘরে কয়েক ঘণ্টা রেখে দিন, জমে ক্রিমের মতো হয়ে আসবে। ১০ মিনিট ফ্রিজে রেখে দিলেও মোটামুটি একই কাজ হয়।
৪/ পুরনো একটা ক্রিমের কৌটায় ভরে রেখে দিন।
তারপর দরকার মত এই ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন হাত-পা, কনুই এবং পায়ের ফাটা গোড়ালিতে। মিষ্টি গন্ধের এই লোশন আপনার ত্বকের জন্য রাসায়নিক লোশনের চাইতে অনেক ভালো। এর উপাদান হিসেবে কোকো বাটার ব্যবহার না করে সাধারণ মাখনও ব্যবহার করতে পারেন, কারন কোকো বাটার সব জায়গায় পাওয় যায় না এবং দাম অনেক বেশি। শীতকালে এটা ক্রিমের মতো থাকলেও তাপমাত্রা একটু বেশি হয়ে গেলে নারিকেল তেল গলে যেতে পারে। গরমে এটা অনেকটাই লোশনের মত হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে একে ফ্রিজে রাখতে পারেন কিংবা স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রেখেও ব্যবহার করতে পারবেন। তবে তার ঘরে তৈরি লোশনের উপকারিতা হলো, ত্বকের সংস্পর্শে এলেই সেটা গলে গিয়ে ভালোভাবে মিশে যায়। ফলে আপনার ত্বক হয়ে ওঠে প্রাণবন্ত।

 

 

ফর্সা উজ্জ্বল ফ্রেস ত্বক পেতে মিষ্টি আলু – বাদামের ব্যবহার

shajghor_Fairness to the skin, bright fresh sweet potatoes - Use Nutত্বক ফর্সা কিংবা উজ্জ্বল করতে কেউ দামী প্রসাধনী ব্যবহার করেন আবার কেউ নিয়মিত পার্লারে গিয়ে ত্বকের যত্ন নেন। তবে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক কিছু খাবার খেয়েই ত্বকের ফর্সা ভাব উজ্জ্বলতা বাড়ানো সম্ভব। চলুন জেনে নেওয়া যাক ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে এমন ৪টি প্রাকৃতিক খাবার সম্পর্কে।
মিষ্টি আলু-
মিষ্টি আলুতে আছে প্রচুর পরিমান ভিটামিন এ। ভিটামিন এ ত্বককে সুস্থ ও উজ্জ্বল রাখতে সহায়তা করে। নিয়মিত মিষ্টি আলু খেলে ত্বকের লালচে ভাব কমে এবং উজ্জ্বল হলুদ আভা বৃদ্ধি পায়। ফলে ত্বক দেখায় উজ্জ্বল ও সতেজ।
সূর্যমূখীর বীজ-
সূর্যমূখীর বীজে আছে প্রচুর ভিটামিন ই। ভিটামিন ই ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্ত রাখে এবং ত্বকের পুরনো কোষ পরিষ্কার করে নতুন কোষ তৈরি করতে দরুণ কার্যকরি। এছাড়াও প্রকৃতির ক্ষতিকর নানান উপাদান থেকে ত্বককে রক্ষা করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে সূর্যমূখীর বীজ।
কমলার রস-
কমলার রসে আছে প্রচুর পরিমান ভিটামিন সি। এছাড়াও এতে আছে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা ত্বককে রক্ষা করে সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব ও পরিবেশের নানান ক্ষতিকর উপাদান থেকে। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ত্বকের কোষ গুলোকে সজীব রাখে। ফলে ত্বক দেখায় উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত।
বাদাম-
বাদামে আছে ভরপুর ভিটামিন ই, ফাইবার ও প্রোটিন। এই তিনটি উপাদান ত্বককে সজীব ও উজ্জ্বল দেখাতে সহায়তা করে এবং ত্বকের মৃত কোষ দূর করে ত্বককে রাখে উজ্জ্বল ও প্রানবন্ত। এছাড়াও ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর আলোর প্রভাব থেকে মুক্ত করে বাদাম। ফলে ত্বক উজ্জ্বল দেখায়।

 

মুখের বিছ্রি কালো দাগ দূর করুণ আপেল কমলার খোসা দিয়ে

shajghor_apple orange peelমুখকে সুন্দর রাখতে আমারা অনেক কিছুই করে থাকি। কিন্তু এই সুন্দর মুখে হঠাৎ করে কোনও কালো দাগ দেখা দেয় তাহলে তা দূর করতে মাথা খারাপ হয়ে যায়। এই কালো ছোপ ছোপ দাগ যা অনেক ক্ষেত্রেই অস্বস্তির কারণ হয়, সৌন্দর্য হানির মুখ্য কারণ। অবশ্য এর জন্য আছে কিছু সহজ উপায় যা মেনে চললে আপনি পাবেন দাগ মুক্ত একটি সুন্দর ত্বক।
১. দুই চামচ বেসন, এক চিমটে গুঁড়ো হলুদ, এক চামচ চন্দন গুঁড়ো এবং এক চামচ কমলার খোসা বাটা একসঙ্গে মিশিয়ে একটা পেষ্ট তৈরী করুন। এবার এটা মুখে, ঘাড়ে ভাল করে লাগিয়ে রেখে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন।
২. একটি ছোট আকারের আপেল কেটে তার একটা ফালি মুখে, ঘাড়ে, গলায় মাখুন৷ দশ মিনিট পর ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুই থেকে তিন বার এইভাবে ব্যবহার করুন।
৩. আপেল ও কমলার খোসা এক সাথে বেটে এর সাথে কাঁচা দুধ, ডিমের সাদা অংশ ও কমলা রস মেশান। এবার মিশ্রনটা ত্বকে ২৫ থেকে ৩০ মিনিট লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন।

 

প্রাকৃতিক উপাদানে মেছতার দাগ দূর করুণ

shajghor_Remove stain mechataপ্রত্যেক মেয়েই চায় তার সৌন্দর্য ধরে রাখতে। আর সৌন্দর্য ধরে রাখা মানেই কিন্তু চিরকাল যুবতী থাকা নয়। সৌন্দর্যের প্রথম শর্তই হচ্ছে ত্বক পরিষ্কার ও দাগ মুক্ত রাখা। অনেক মেয়েদের মুখে মেছতা দেখা যায়। এই মেছতাই হচ্ছে চেহারায় বয়সের ছাপ পড়ার প্রথম লক্ষন। আবার মুখে ক্রমাগত অতিরিক্ত মেকাপ লাগানোর ফলেও মুখে মেছতা পরতে পারে। বিশেষ করে যাদের প্রতিদিন বাইরে বের হওয়ার সময় মেকাআপ করতে হয় তাদের এই সমস্যাটি বেশী দেখা যায়। আজ আমরা কয়েকটি প্রাকৃতিক উপাদানের তৈরী মাস্ক নিয়ে আলোচনা করব যা ব্যবহারে মেছতার সমস্যা দূর করা সম্ভব।
দারুচিনি ও দুধের সরঃ
এক চিমটি দারুচিনি গুড়ো এবং সামান্য দুধের সর হাতের তালুতে আঙুল নিয়ে ভালো করে মেশান। এরপর এই মিশ্রণটি মেছতার দাগের ওপর লাগান। এরপর ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে শুকিয়ে এলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে আলতো ঘষে তুলে ফেলুন। এটি প্রতদিন ঘুমানোর আগে ব্যাবহার করলে দ্রুত মেছতা দূর হয়।
ছোলার ডালঃ
যাদের মুখে বয়সের জন্য মেছতা পড়ে তারা ছোলার ডাল ব্যাবহার করে অনেক উপকার পেতে পারেন। এজন্য প্রথমে ছোলার ডাল সারাদিন ভিজিয়ে রেখে দিন। এরপর আধা কাপ ছোলার ডালের সাথে ১ চামুচ মধু মিশিয়ে পানির পরিবর্তে কাচা দুধ দিয়ে মিহি করে ব্লেন্ড করে নিন। এবার এটি সম্পুর্ন মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি মেছতার সাথে সাথে ত্বকের রিঙ্কেলস দূর করতেও সাহায্য করে।
লেবুর রস ও চিনিঃ
প্রথমে একটা লেবু চিপে নিয়ে তা পরিষ্কার তুলা দিয়ে সরাসরি মেছতার উপর লাগিয়ে নিন। এরপর ১৫ মিনিট পর আরেক টুকরা লেবুর উপর আধা চামুচ চিনি ছড়িয়ে নিয়ে মেছতার উপর হালকা করে ৫ মিনিট ঘষে নিন। এরপর ঠান্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে নিন। এটি প্রতিদিন ব্যাবহারে দ্রুত মেছতা দূর হয়।
টক দইঃ
মুখের মেছতা দূর করতে টকদই এর বিকল্প নেই। ২ চামুচ টকদই এর সাথে আধা চামুচ মধু মিশিয়ে পেষ্ট তৈরী করে নিন। এবার এটি মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর ঠান্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে নিন। এটি সপ্তাহে ৪ দিন ব্যাবহারে খুব দ্রুত ফলাফল পাওয়া যায়।
টমেটোঃ
টমেটোর ভিটামিন সি মেছতা দূর করতে অনেক উপকারী। একটা টমেটো কেটে মেছতার অংশটুকু প্রতিদিন ৫ থেকে ৮ মিনিট ম্যাসাজ করুন। এতে মেছাতা খুব দ্রুত হালকা হয়।
এলোভেরাঃ
এলোভেরার পাল্প ত্বকের দাগ দূর করতে অনেক উপকারী। একটি এলোভেরা কেটে এর জেলো এক চামুচ মধুর সাথে মিশিয়ে মেছতার উপর লাগিয়ে নিন। এবার ২০ মিনিট পর হালকা আঙ্গুল দিয়ে ঘষে কুসুম গরম পানিতে মুখ ধুয়ে নিন।

 

সুন্দর ত্বক পেতে সকাল বেলা ১০মিনিট ত্বকের যত্ন নিন

shajghor_Take care beautiful skinপুরো দিন ঝলমলে সুন্দর ত্বক পেতে কার না মন চায়। সারারাত ঘুমানোর পর চোখের নিচে ফোলা ভাব কিংবা রাতে ভালো ঘুম না হলে চোখের নিচে কালো দাগ পড়া খুব স্বাভাবিক। কিন্তু তা নিয়ে তো সারাটা দিন কাটানো যায় না। তাই সকালে মাত্র ১০ টি মিনিট ত্বকের যত্ন নিলে পুরোদিনই ত্বক থাকবে উজ্জ্বল ও সুন্দর।
– প্রথমে খুব ভালো কোনো স্ক্রাবার দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। যদি প্রাকৃতিক কিছু চান তবে চালের গুঁড়ো এবং দুধ মিশিয়ে তা দিয়ে ত্বক স্ক্রাব করে নিন।
– এরপর দু খণ্ড বরফের টুকরো একটি সুতি পাতলা কাপড়ে পেঁচিয়ে নিয়ে তা দিয়ে বরফ না গলা পর্যন্ত আলতো করে ঘষে নিন।
– থুতনি এবং চোয়ালের দিকে বরফ ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ঘষে নিন। এরপর একইভাবে গাল ও কপালে ঘষে নিন।
– চোখের নিচের দিকে বরফ ভালো ভাবে সতর্কতার সাথে ঘষে নিন। এতে চোখের নিচের ফোলা ভাব ও কালো দাগ অনেকাংশে দূর হয়ে যাবে।
– এরপর মুখ ভালো করে ধুয়ে নিন এবং ভালো করে ময়েসচারাইজার ও সানস্ক্রিন লাগান। এরপর অন্যান্য প্রসাধনী ব্যবহার করে নিন। দেখবেন পুরো দিন উজ্জ্বল থাকবে ত্বক।
– আরও ভালো ফলাফল চাইলে আগের রাতে ফ্রিজে পানি, লেবুর রস ও গোলাপজল মিশিয়ে নিয়ে বরফ জমিয়ে নিতে পারেন, কিংবা গ্রিন টী দিয়েও বরফ জমাতে পারেন।

 

হাড় কাঁপানো শীতের রাতে ত্বকের বাড়তি যত্ন

shajghor_Extra care of your skin in winter nightদেখতে দেখতেই হাড় কাপানো শীত নিয়ে এসেছে প্রকৃতি। আর শীত কাল মানেই প্রকৃতির শুষ্ক হয়ে ওঠা। প্রকৃতির এই শুষ্কতার পাশাপাশি এসময়ে চেহারাও হয়ে ওঠে শুষ্ক ও অনুজ্জ্বল। আর এই শুষ্ক ও অনুজ্জ্বল চেহারার জন্য এসময়ে দরকার বাড়তি কিছু যত্ন।
শীতের রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে সহজ কিছু পদ্ধতি অনুসরন করলেই ত্বক এবং চুল উজ্জ্বল, মসৃন রাখা যায়। আসুন জেনে নেয়া যাক শীতের রাতে ত্বকের যত্ন সম্পর্কে।
ত্বক পরিষ্কার করাঃ
শীত কাল এসেছে বলে কি ত্বক পরিষ্কার করতে হবে না? ঠান্ডা পানির ভয়ে ত্বক পরিষ্কার না করলে ত্বকে ব্রণের উপদ্রব দেখা দেয়। তাই শীতের রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অবশ্যই ত্বক পরিষ্কার করে ঘুমাতে যাওয়া উচিত। ত্বক পরিষ্কার করার জন্য প্রথমে অলিভ অয়েল বা বেবি অয়েল দিয়ে মুখ ভালো করে ম্যাসাজ করে নিন। এরপর হালকা গরম পানিতে কাপড় ভিজিয়ে মুখটা মুছে ফেলুন। সবশেষে ভালো কোনও ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
ময়শ্চারাইজ করাঃ
শীতে যেহেতু ত্বক শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যায় তাই এ সময়ে দরকার ত্বককে ময়শ্চারাইজ করা। প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে মুখ ধোয়ার পরে অবশ্যই ত্বককে ময়শ্চারাইজ করে নেয়া জরুরী। ময়শ্চারাইজার হিসেবে ভালো কোনও ময়শ্চারাইজার বা নাইট ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া ব্যবহার করতে পারেন অলিভ ওয়েল। ময়েশ্চারাইজার পুরো মুখে ভালো করে ম্যাসাজ করে ঘুমিয়ে পড়ুন। সকালে ত্বক হয়ে উঠবে প্রানবন্ত।
ফেস প্যাকঃ
অন্য সময়ের থেকে শীতের ফেস প্যাক হবে একটু আলাদা। কারণ, এসময়ে দরকার ত্বকের বাড়তি যত্ন। শীতে ত্বকের যত্নের জন্য জেনে নিন দুটি ফেস প্যাক বানানোর পদ্ধতি।
– এক টুকরা পাউরুটি দুধে ভিজিয়ে নরম করে এর সঙ্গে খানিকটা পাকা কলা চটকে মিশিয়ে পেস্ট করে নিন। এরপর চন্দন গুঁড়া মিশিয়ে ওই মিশ্রণটি মুখে লাগান। ১৫ মিনিট পর পানি দিয়ে মুখটা ধুয়ে নিন। নিয়মিত ব্যবহারে শুষ্ক ত্বক মোলায়েম হয়ে ওঠে।
– পাকা কলা, পাকা পেপে ও ময়দা এক সঙ্গে পেস্ট তৈরি করে নিন। এরপর এই পেস্টটি ১০/১৫ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক হয়ে উঠবে উজ্জ্বল ও মসৃন।
তথ্যসূত্র: প্রিয় ডট কম

মুখের ত্বকে যে ৭টি জিনিস ভুলে ব্যবহার করবেন না

shajghor_face skinনিজের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য আমরা কতো কিছুই করে থাকি। সঠিক ভাবে রূপচর্চা করলে কোন সমস্যা নেই, কিন্তু যদি আপনি না জেনে কিছু কিছু জিনিস মুখের ত্বকে ব্যবহার করে থাকেন তখন কিন্তু আপনি ক্ষতিগ্রস্থ হবেন। তাই জেনে রাখুন যে জিনিসগুলোকে আপনার মুখের ত্বক থেকে দূরে রাখবেন।
হেয়ার স্প্রে-
অনেকেই মনে করে থাকেন যে হেয়ার স্প্রে দিয়ে যেহেতু চুল ঠিক রাখা যায় তাহলে হয়তো মেক-আপ করার পর, মেক-আপ যেন বেশিক্ষণ থাকে ও না ঘেমে যায় তার জন্য একটু হেয়ার স্প্রে মুখে দিয়ে দেই। কিন্তু এই ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল। কারণ হেয়ার স্প্রেতে আছে ‘লেকিউরস ও এলকোহল’ উপাদান যা ত্বকের জন্য খুব খারাপ।
ডিওড্রেন্ট-
ডিওড্রেন্ট এর কাজ হলো আমাদের বগোলের ঘাম ও ঘামের দুর্গন্ধ থেকে রক্ষা করা। তার মানে এই না যে ডিওড্রেন্ট আপনার মুখের ঘামও দূর করবে। তাই এই ভুল কাজ করা থেকে বিরত থাকুন।
হেয়ার কালার-
অনেকেই আছেন কিছুদিন পর পর চুলের রঙ পাল্টে থাকে। তাই মনে করেন যে চুলের রঙের সাথে যদি আইব্রো এর রঙ মিলে যায় তাহলে হয়তো ভাল দেখাবে। কিন্তু চুল কালার করার উপাদানে যে কেমিক্যাল থাকে তা আমাদের মুখের ত্বকের জন্য খুব ক্ষতিকর। তাই চুলের পাশাপাশি আইব্রো কালার করবেন না।
বডি লোশন-
আমরা অনেকেই বডি লোশন আমাদের মুখের ত্বকেও ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু বডি লোশন দেহের ত্বকের জন্য তৈরি করা হয় তাই এটি খুব ভারী হয় ও খুব সুগন্ধিযুক্ত হয়। তাই আপনার মুখের ত্বকের জন্য ব্যবহার করুন গন্ধহীন ও আরো ভাল কোনো ক্রিম।
শ্যাম্পু-
শ্যাম্পু করার সময় মুখে শ্যাম্পুর ফেনা গড়িয়ে আসে সবারই কিন্তু অনেকেই আছেন মনে করেন যে শ্যাম্পুর ফেনা যখন গড়িয়ে এসেছে তাহলে সেই ফেনা দিয়েই মুখ ধুয়ে ফেলি। কিন্তু আপনার এই ধারণাটি ঠিক নয় এবং এই কাজটির কারণে আপনার ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে।
হেয়ার সিরাম-
অনেকেই হেয়ার সিরাম ব্যবহার করে থাকেন। আর হেয়ার সিরামের কাজ হল চুল নরম রাখা, চুলের জটা না বাঁধা, চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করা। তাই বলে যে চুলের সাথে সাথে আপনার মুখের ত্বককেও হেয়ার সিরাম নরম রাখবে তা কিন্তু নয়। চুলে ব্যবহার করার উপাদান ও মুখে ব্যবহার করার উপাদান কখনোই একরকম হয়না।
নেইলপলিশ-
নেইলপলিশের কাজ হল আমাদের নখের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা। কিন্তু আমরা অনেকেই আছি কপালে টিপ দেয়ার জন্য কিংবা কোনো ছোট মেয়ে বাচ্চাকে সাজানোর জন্য নেইলপলিশ ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু নেইলপলিশে যে উপাদানগুলো থাকে তা অবশ্যই আমাদের মুখের ত্বকের জন্য ক্ষতিকর।