Wednesday, December 10, 2014

নিজের কৌশলে হোক সহজ ইন্টারভিউ


নিজের কৌশলে হোক সহজ ইন্টারভিউ

job-2 নিজের কৌশলে হোক সহজ ইন্টারভিউ
ঢাকা: লেখাপড়া শেষ। এখন দরকার একটা চাকরি। আর চাকরি পেতে ইন্টারভিউ বোর্ডের সামনে তো দাঁড়াতেই হবে। মামা-চাচা থাকলে বিষয়টি ভিন্ন। আজকাল তো আবার মামা-চাচার বদৌলতে ইন্টারভিউ না দিয়েই অনেকের চাকরি হয়ে যায়। কিন্তু যাদের ওই দুটো জিনিস নেই, তাদের ইন্টারভিউ দিতেই হবে।
সমস্যা হলো- ইন্টারভিউয়ের কথা মনে হলেই অনেকের বুকের ভেতর তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। অনেকে ইন্টারভিউ বোর্ডে জানা উত্তর ভুল করেন, কথা জড়িয়ে ফেলেন কিংবা স্নায়ুর চাপে বেসামাল হয়ে পড়েন। এটা স্বাভাবিক ঘটনা।
ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে এসব ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য কিছু কৌশল রপ্ত করতে হবে। আর নিজের কৌশলেই হতে পারে একটি সহজ ইন্টারভিউ।
সাজ-পোশাক
চাকরির ইন্টারভিউ বোর্ডে যাওয়ার আগে ফরমাল পোশাক পরার চেষ্টা করবেন। নারী হলে হালকা রঙের শাড়ি বা থ্রি-পিসের সঙ্গে মিলিয়ে অন্যান্য পোশাক বা গয়না পরতে হবে। তবে সব কিছুই যে হয় হালকা রঙের। খুব জমকালো কিছু পরবেন না। মেকআপ, অলংকার হবে মার্জিত। পুরুষরা পরবেন ফরমাল শার্ট-প্যান্ট। টাই বা স্যুট পরতে পারেন। চাকরিটি সেলস বা মার্কেটিংয়ে হলে স্যুট-টাই যতটা জরুরি, ইঞ্জিনিয়ারিং বা অন্য পদে হলে ততোটা নয়। লক্ষ্য রাখবেন পোশাকের রং যাই হোক, তা যেন আপনাকে মানায়। কাজেই পোশাক নির্বাচনে রুচির পরিচয় রাখুন।
প্রস্তুতি
ইন্টারভিউয়ের আগে অবশ্যই প্রস্তুতি প্রয়োজন। কী প্রশ্ন আপনাকে করা হতে পারে, তা আগেই কারো কাছ থেকে ধারণা নিন। অভিজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করে চাকরি সম্পর্কিত জ্ঞানের চর্চা করুন। এতে আপনি যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী থাকবেন। ফলে প্রশ্নও সহজ লাগবে।
শুরুর প্রশ্ন
প্রতিটি ইন্টারভিউতে নিজেকে উপস্থাপন করতে বলার রীতি আছে। তাই ৫ থেকে ৬টি বাক্যে নিজেকে সংক্ষেপে বর্ণনা করার অনুশীলন করুন। আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জন, চাকরির পূর্ব-অভিজ্ঞতা ও সেখানে কোন বিশেষ অর্জন, এই চাকরির বিষয়ে আপনার আগ্রহের বিশেষ কারণ, আপনার সবচেয়ে বড় গুণ – এ জাতীয় কিছু অনুশীলন করুন। যা বলার, হাসিমুখে প্রশ্নকারীর চোখের দিকে তাকিয়ে বলবেন। আত্মবিশ্বাস দেখান প্রথম কথা থেকেই।
ভিত্তি
আপনি যে বিষয়ে লেখাপড়া করেছেন, তার সঙ্গে যদি চাকরিটি সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়, তাহলে অবশ্যই বেশ কিছু তাত্ত্বিক প্রশ্ন করা হবে। যদি আপনি ফ্রেশ গ্রাজুয়েট হন, তাহলে ইন্টার্নশিপ বা রিসার্চ (শেষ বর্ষে যেটা করতে হয়েছে), তা নিয়ে কিছু পড়াশোনা করে রাখুন। আপনার থিসিস নিয়ে আলোচনা হতে পারে, তাই সেটা একবার পড়ে রাখবেন। আপনি যদি চাকরিরত হয়ে থাকেন, তাহলে বর্তমান চাকরিতে কী করছেন, কাঙ্ক্ষিত চাকরির সঙ্গে তা কিভাবে সম্পৃক্ত – এ নিয়ে আপনাকে প্রশ্ন করা হতে পারে। আপনি যদি সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের চাকরি চান, সেক্ষেত্রে আপনার বহুমাত্রিক প্রতিভার কিছু উদাহরণ উপস্থাপন করুন।
যোগ্যতা
ইন্টারভিউ রুমে ঢোকার আগে অবশ্যই অনুমতি নিয়ে হাসিমুখে গিয়ে দাঁড়াবেন। অনুমতি পেয়ে বসবেন। তারপর প্রশ্নকারী আপনাকে প্রশ্ন করলে নিজের যোগ্যতা মতে উত্তর দিতে থাকুন। মনে রাখবেন ভয় পেয়ে ঘাবড়ে যাবেন না। চাকরি পেতে আপনার স্বাভাবিক থাকাটা খুবই জরুরি।

সুত্র বাংলামেইল২৪ডটকম

No comments:

Post a Comment