প্রযুক্তিপণ্য
ব্যবহার আর এ ব্যাপারে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। কম্পিউটার, মোবাইল ফোন ও
ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ার হার দেখে এটা খুব সহজেই বোঝা যায়, এ
বিষয়ে মানুষের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। কম্পিউটার দিয়ে একদিকে যেমন
দৈনন্দিন সহজ-সাধারণ কাজগুলো করা যায়, তেমনি আবার প্রাতিষ্ঠানিক বা
গবেষণার জটিল থেকে জটিলতর কাজও করিয়ে নেওয়া যায় এই কম্পিউটার দিয়ে। এই
সময়ের স্মার্টফোনগুলোও কম শক্তিশালী নয়। বিভিন্ন ধরনের কাজ করার জন্য
স্মার্টফোনে আছে বিপুল পরিমাণ অ্যাপ্লিকেশন (অ্যাপ)।
কিন্তু যেসব সফটওয়্যার, ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন এবং মোবাইল অ্যাপ রয়েছে সেগুলো দিয়েই যে সব কাজ করা যাচ্ছে বা ভবিষ্যতে করা যাবে এমন তো নয়। প্রতিদিনই নতুন নতুন কাজের চাহিদা বাড়ছে আর তৈরি হচ্ছে নতুন প্রোগ্রাম বা অ্যাপ্লিকেশন। তাই তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রযাত্রায় নতুন অ্যাপ্লিকেশনগুলো তৈরির জন্য দক্ষ প্রোগ্রামার প্রয়োজন। এত দক্ষ প্রোগ্রামার নেই। এ সমস্যাটা দুনিয়াজুড়েই। আর তাই কম্পিউটার বিজ্ঞান বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে আর শিক্ষার্থীদের এই দিকে টানতে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় নানা রকমের আয়োজন করা হয়। ডিসেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বিশ্বব্যাপী পালন করা হয় ‘কম্পিউটারবিজ্ঞানশিক্ষাসপ্তাহ’।
কম্পিউটার বিজ্ঞান শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে যেসব অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়, সেসবের মধ্যে জনপ্রিয় হচ্ছে আওয়ার অব কোড। মানে প্রোগ্রামিং সংকেত (কোড) নিয়ে এক ঘণ্টা। বিভিন্ন স্কুল ও কলেজে মূলত এই আয়োজন করা হয়ে থাকে। এর মূল আয়োজক কোড ডট ওআরজি (www.code.org)। পৃষ্ঠপোষকতা করছে মাইক্রোসফট, গুগল, ফেসবুক, অ্যাপলের মতো বিশ্বের শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো।
বাংলাদেশে দ্বিতীয়বারের মতো এই আয়োজন করা হচ্ছে এবার। আজ ৮ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে এ আয়োজন। এবারের আয়োজনের আয়োজক দ্বিমিক কম্পিউটিং স্কুল এবং বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক (বিডিওএসএন)। পৃষ্ঠপোষকতা করছে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল ও মাসিক ‘কিশোর আলো’।
ঢাকা এবং ঢাকার বাইরের ১০টি স্কুল ও কলেজে আজ থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে এ আয়োজন। এই এক ঘণ্টায় প্রোগ্রামিং সংকেত লেখার কৌশল শেখানো হবে আর প্রোগ্রামিং সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের সচেতন করা হবে। আবার কেউ চাইলে ঘরে বসেও এই আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবে http://learn.code.org ঠিকানার ওয়েবসাইট থেকে।
বাংলাদেশের আয়োজন সম্পর্কে দ্বিমিক কম্পিউটিং স্কুলের সহপ্রতিষ্ঠাতা তামিম শাহরিয়ার সুবীন বলেন, ‘বড় হতে গেলে নিষ্ঠার সঙ্গে পরিশ্রম করতে হয়। লেগে থাকতে হয়। আর এই লেগে থাকার জন্য চাই উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা। আওয়ার অব কোডে আমরা সেই কাজই করার চেষ্টা করব। সবাইকে প্রোগ্রামিংয়ে উৎসাহিত করব। কেউ যেন আবার ভেবে না বসে যে আওয়ার অব কোড করে সে প্রোগ্রামার হয়ে যাবে।’
প্রোগ্রামিং এমন একটি বিষয়ে যেটি যে কেউ শিখতে পারে। প্রোগ্রামিং শেখার জন্য নির্দিষ্ট বয়স হতে হবে অথবা নির্দিষ্ট বিষয় আগে থেকে জানা থাকতে হবে এমন নয়। বরং কিছুদিন পরে হয়তো দেখা যাবে স্কুল–কলেজে বাংলা, ইংরেজি, গণিতের পাশাপাশি প্রোগ্রামিং শেখানো হচ্ছে সবাইকে। প্রোগ্রামিং শিখতে হলে নিজের আগ্রহই যথেষ্ট আর নিয়মিত চর্চা চালিয়ে গেলে অচিরেই প্রোগ্রামার হওয়া সম্ভব।
প্রোগ্রামার উদ্দীপ্ত সাঈদ
উদ্দীপ্ত সাঈদ ঢাকার সেন্ট জোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। সে এক বছর ধরে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং চর্চা করছে। উদ্দীপ্ত জানায়, প্রোগ্রামিংয়ের প্রতি তার আগ্রহ বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই। সেই সময় তার এক আত্মীয়ের কাছ থেকে প্রোগ্রামিং বিষয়টি জানতে পারে এবং নিজের মধ্যে এটি শেখার আগ্রহ তৈরি হয়। প্রথম দিকে সেই আত্মীয়ের কাছ থেকে প্রোগ্রামিং–সংক্রান্ত বিভিন্ন পরামর্শ পেত, পাশাপাশি প্রথম আলোর কম্পিউটার প্রতিদিন এবং প্রজন্ম ডট কম বিভাগে প্রকাশিত বিভিন্ন লেখা পড়ে তার আগ্রহ আরও বেড়েছে। এসব লেখা থেকে বিভিন্ন পরামর্শও পেয়েছে উদ্দীপ্ত।
গত বছর তামিম শাহরিয়ারের লেখা কম্পিউটার প্রোগ্রামিং বইটি পড়ে উদ্দীপ্ত প্রথম প্রোগ্রামিং শুরু করে। বর্তমানে সে ‘সি++ প্রোগ্রামিং ভাষায়’ প্রোগ্রামিং চর্চা করছে। নিয়মিত চর্চার মাধ্যমে সে এখন সি শার্পে দক্ষতা অর্জন করতে চায়। পরবর্তী সময়ে ধীরে ধীরে পাইথনসহ অন্যান্য প্রোগ্রামিং ভাষা রপ্ত করতে চায় উদ্দীপ্ত।
কিন্তু যেসব সফটওয়্যার, ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন এবং মোবাইল অ্যাপ রয়েছে সেগুলো দিয়েই যে সব কাজ করা যাচ্ছে বা ভবিষ্যতে করা যাবে এমন তো নয়। প্রতিদিনই নতুন নতুন কাজের চাহিদা বাড়ছে আর তৈরি হচ্ছে নতুন প্রোগ্রাম বা অ্যাপ্লিকেশন। তাই তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রযাত্রায় নতুন অ্যাপ্লিকেশনগুলো তৈরির জন্য দক্ষ প্রোগ্রামার প্রয়োজন। এত দক্ষ প্রোগ্রামার নেই। এ সমস্যাটা দুনিয়াজুড়েই। আর তাই কম্পিউটার বিজ্ঞান বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে আর শিক্ষার্থীদের এই দিকে টানতে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় নানা রকমের আয়োজন করা হয়। ডিসেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বিশ্বব্যাপী পালন করা হয় ‘কম্পিউটারবিজ্ঞানশিক্ষাসপ্তাহ’।
কম্পিউটার বিজ্ঞান শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে যেসব অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়, সেসবের মধ্যে জনপ্রিয় হচ্ছে আওয়ার অব কোড। মানে প্রোগ্রামিং সংকেত (কোড) নিয়ে এক ঘণ্টা। বিভিন্ন স্কুল ও কলেজে মূলত এই আয়োজন করা হয়ে থাকে। এর মূল আয়োজক কোড ডট ওআরজি (www.code.org)। পৃষ্ঠপোষকতা করছে মাইক্রোসফট, গুগল, ফেসবুক, অ্যাপলের মতো বিশ্বের শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো।
বাংলাদেশে দ্বিতীয়বারের মতো এই আয়োজন করা হচ্ছে এবার। আজ ৮ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে এ আয়োজন। এবারের আয়োজনের আয়োজক দ্বিমিক কম্পিউটিং স্কুল এবং বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক (বিডিওএসএন)। পৃষ্ঠপোষকতা করছে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল ও মাসিক ‘কিশোর আলো’।
ঢাকা এবং ঢাকার বাইরের ১০টি স্কুল ও কলেজে আজ থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে এ আয়োজন। এই এক ঘণ্টায় প্রোগ্রামিং সংকেত লেখার কৌশল শেখানো হবে আর প্রোগ্রামিং সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের সচেতন করা হবে। আবার কেউ চাইলে ঘরে বসেও এই আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবে http://learn.code.org ঠিকানার ওয়েবসাইট থেকে।
বাংলাদেশের আয়োজন সম্পর্কে দ্বিমিক কম্পিউটিং স্কুলের সহপ্রতিষ্ঠাতা তামিম শাহরিয়ার সুবীন বলেন, ‘বড় হতে গেলে নিষ্ঠার সঙ্গে পরিশ্রম করতে হয়। লেগে থাকতে হয়। আর এই লেগে থাকার জন্য চাই উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা। আওয়ার অব কোডে আমরা সেই কাজই করার চেষ্টা করব। সবাইকে প্রোগ্রামিংয়ে উৎসাহিত করব। কেউ যেন আবার ভেবে না বসে যে আওয়ার অব কোড করে সে প্রোগ্রামার হয়ে যাবে।’
প্রোগ্রামিং এমন একটি বিষয়ে যেটি যে কেউ শিখতে পারে। প্রোগ্রামিং শেখার জন্য নির্দিষ্ট বয়স হতে হবে অথবা নির্দিষ্ট বিষয় আগে থেকে জানা থাকতে হবে এমন নয়। বরং কিছুদিন পরে হয়তো দেখা যাবে স্কুল–কলেজে বাংলা, ইংরেজি, গণিতের পাশাপাশি প্রোগ্রামিং শেখানো হচ্ছে সবাইকে। প্রোগ্রামিং শিখতে হলে নিজের আগ্রহই যথেষ্ট আর নিয়মিত চর্চা চালিয়ে গেলে অচিরেই প্রোগ্রামার হওয়া সম্ভব।
প্রোগ্রামার উদ্দীপ্ত সাঈদ
উদ্দীপ্ত সাঈদ ঢাকার সেন্ট জোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। সে এক বছর ধরে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং চর্চা করছে। উদ্দীপ্ত জানায়, প্রোগ্রামিংয়ের প্রতি তার আগ্রহ বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই। সেই সময় তার এক আত্মীয়ের কাছ থেকে প্রোগ্রামিং বিষয়টি জানতে পারে এবং নিজের মধ্যে এটি শেখার আগ্রহ তৈরি হয়। প্রথম দিকে সেই আত্মীয়ের কাছ থেকে প্রোগ্রামিং–সংক্রান্ত বিভিন্ন পরামর্শ পেত, পাশাপাশি প্রথম আলোর কম্পিউটার প্রতিদিন এবং প্রজন্ম ডট কম বিভাগে প্রকাশিত বিভিন্ন লেখা পড়ে তার আগ্রহ আরও বেড়েছে। এসব লেখা থেকে বিভিন্ন পরামর্শও পেয়েছে উদ্দীপ্ত।
গত বছর তামিম শাহরিয়ারের লেখা কম্পিউটার প্রোগ্রামিং বইটি পড়ে উদ্দীপ্ত প্রথম প্রোগ্রামিং শুরু করে। বর্তমানে সে ‘সি++ প্রোগ্রামিং ভাষায়’ প্রোগ্রামিং চর্চা করছে। নিয়মিত চর্চার মাধ্যমে সে এখন সি শার্পে দক্ষতা অর্জন করতে চায়। পরবর্তী সময়ে ধীরে ধীরে পাইথনসহ অন্যান্য প্রোগ্রামিং ভাষা রপ্ত করতে চায় উদ্দীপ্ত।
No comments:
Post a Comment