ফ্রিল্যান্সিং শুরুর জন্য যা প্রয়োজন!
ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফলতার মুলমন্ত্র হলো মেধা বা দক্ষতা। এর সাথে
থাকতে হবে ধৈর্য্য। বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদের ক্ষেত্রে প্রধান সমস্যা হলো
ইংরেজি না জানা বা কম জানা। অনেক সময় ইংরেজি না জানা বা কম জানা একটা বড়
সমস্যা হিসেবে দেখা দিতে পারে। গার্টনারের এক জরিপে দেখা গেছে, দেশের
তরুণেরা আউটসোর্সিংয়ে পিছিয়ে থাকার পেছনে ইংরেজি দুর্বলতা দায়ী।
আউটসোর্সিংয়ের ক্ষেত্রে ইংরেজি যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সেটি অনেকে
বুঝতে চান না। যেহেতু বিদেশী বায়ারের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করতে হয় সে জন্য
ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা থাকা প্রয়োজন। নতুবা কোনভাবেই আপনি আপনার বায়ারের
রিকোয়ারমেন্ট যেমন বুঝতে পারবেন না তেমনি কোন সমস্যাও তাকে বুঝিয়ে বলতে
পারবেন না।
ইংরেজিতে দূর্বলরা উপরের কথা পড়ে হয়ত ভড়কে
যেতে পারেন, তবে তাদের জন্য বলতে পারি যে আপনাকে কিন্তু ইংরেজিতে পন্ডিত
হতে হবে এমনটি নয়। ভাব বিনিময় এবং ব্যবসায়িক কাজগুলোর জন্য সাধারণত যে
ইংরেজি ব্যবহৃত হয় সেটি জানলেই চলবে। যারা ইংরেজিতে দূর্বল তাদের এটি দূর
করতে খুব বেশি যে সময় লাগবে এমনটি নয়, ২ থেকে ৩ মাস একটু চেষ্টা করলেই এ
ধরণের ইংরেজি রপ্ত করা সম্ভব। বেশী বেশী ইংরেজি খবর বা ইংরেজি বই পড়লে
উপকার পেতে পারেন।
এছাড়া প্রয়োজনীয়ভাবে সংশ্লিষ্ঠ কাজের
পাশাপাশি ইন্টারনেট সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে। কাজ করার ক্ষেত্রে
অবশ্যই ডেডলাইনের দিকে নজর রাখা জরুরী। পারলে ডেডলাইনের আগে ভাগেই কাজটি
শেষ করে বায়ারের কাছে জমা দেওয়া ভালো। এতে বায়ারও খুশি থাকে এবং ভাল রেটিং
পাওয়া যায়।
এছাড়া ভালো রেটিং পাওয়ার জন্য কঠোর
পরিশ্রম করার মানসিকতা রাখতে হবে। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় পরিমাণ কাজ করার
মানসিকতা তৈরি করতে হবে। আর হ্যাঁ, দ্রুত কাজের জন্য অবশ্যই অপেক্ষাকৃত
ভালোমানের কম্পিউটার ও দ্রুতগতির ইন্টারনেট থাকতে হবে। আর কাজের ধরণ
অনুযায়ি স্ক্যানার, ডিজিটাল ক্যামেরা বা অন্য কোনো যন্ত্রেরও প্রয়োজন পড়তে
পারে।
No comments:
Post a Comment