নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশের সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩০ দিনের
মধ্যে অ্যাডহক (অস্থায়ী) কমিটি গঠন করে ভোটের মাধ্যমে পরিচালনা পর্ষদ
নির্বাচিত করতে হবে। এরপর নির্বাচিত ওই পরিচালনা
পর্ষদের হাতে
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির পরিচালনার দায়িত্ব হস্তান্তর করতে হবে।
বেসরকারি স্কুল-কলেজের পরিচালনা পর্ষদে স্থানীয় সাংসদের সভাপতি পদে মনোনীত হওয়ার বিধান বাতিল করে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিলেন, সেই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপিতে এই নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল রোববার এই রায় প্রকাশ করা হয়। বিচারপতি জিনাত আরা ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ১ জুন এই রায় দিয়েছিলেন।
পূর্ণাঙ্গ রায়ে হাইকোর্ট ১২টি নির্দেশনা দিয়েছেন। রায়ে বলা হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি (কলেজের ক্ষেত্রে) ও ম্যানেজিং কমিটি (স্কুল পর্যায়ে) প্রবিধানমালার বিশেষ কমিটি গঠনসংক্রান্ত ৫০ ধারা বাতিল করা হলো। এর ফলে সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদে সংসদ সদস্যদের মনোনীত হওয়ার বিধান ও বিশেষ কমিটি বাতিল হলো। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩০ দিনের মধ্যে অ্যাডহক কমিটি করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি নির্বাচনের মাধ্যমে পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি নির্ধারণের বিধান তৈরি করতে হবে।
শিক্ষাসচিব, আইনসচিব ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডকে নির্দেশনা দিয়ে আদালত রায়ে বলেছেন, রায়ের অনুলিপি পাওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রবিধানমালা সংশোধন করতে হবে।
জানতে চাইলে শিক্ষাসচিব সোহরাব হোসাইন প্রথম আলোকে বলেন, এখন তাঁরা আদালতের রায় অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।
বেসরকারি স্কুল-কলেজের পরিচালনা পর্ষদে স্থানীয় সাংসদের সভাপতি পদে মনোনীত হওয়ার বিধান বাতিল করে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিলেন, সেই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপিতে এই নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল রোববার এই রায় প্রকাশ করা হয়। বিচারপতি জিনাত আরা ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ১ জুন এই রায় দিয়েছিলেন।
পূর্ণাঙ্গ রায়ে হাইকোর্ট ১২টি নির্দেশনা দিয়েছেন। রায়ে বলা হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি (কলেজের ক্ষেত্রে) ও ম্যানেজিং কমিটি (স্কুল পর্যায়ে) প্রবিধানমালার বিশেষ কমিটি গঠনসংক্রান্ত ৫০ ধারা বাতিল করা হলো। এর ফলে সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদে সংসদ সদস্যদের মনোনীত হওয়ার বিধান ও বিশেষ কমিটি বাতিল হলো। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩০ দিনের মধ্যে অ্যাডহক কমিটি করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি নির্বাচনের মাধ্যমে পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি নির্ধারণের বিধান তৈরি করতে হবে।
শিক্ষাসচিব, আইনসচিব ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডকে নির্দেশনা দিয়ে আদালত রায়ে বলেছেন, রায়ের অনুলিপি পাওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রবিধানমালা সংশোধন করতে হবে।
জানতে চাইলে শিক্ষাসচিব সোহরাব হোসাইন প্রথম আলোকে বলেন, এখন তাঁরা আদালতের রায় অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।
বিশেষ ধরনের গভর্নিং বডি বা ম্যানেজিং কমিটিসংক্রান্ত বাতিল হওয়া ৫০ বিধিতে বলা আছে, বিশেষ পরিস্থিতিতে বোর্ড এবং সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের কোনো বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য বিশেষ ধরনের গভর্নিং বডি বা ক্ষেত্রমতে ম্যানেজিং কমিটি করা যাবে। আর গভর্নিং বডির সভাপতি মনোনয়নসংক্রান্ত বিধিতে বলা আছে, কোনো স্থানীয় নির্বাচিত সাংসদ তাঁর নির্বাচনী এলাকায় অবস্থিত বোর্ড থেকে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সর্বোচ্চ চারটি উচ্চমাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারবেন। আর সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণের জন্য স্থানীয় নির্বাচিত সাংসদ তাঁর নির্বাচনী এলাকায় অবস্থিত যেসব উচ্চমাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব গ্রহণ করতে ইচ্ছুক, তার উল্লেখসহ লিখিতভাবে বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে ইচ্ছা প্রকাশ করবেন এবং তাহলে সংশ্লিষ্ট বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা প্রতিষ্ঠানসমূহের সভাপতি হিসেবে তাঁর মনোনয়ন গণ্য হবে।
রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও কলেজ পরিচালনার জন্য গঠিত বিশেষ কমিটির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. ইউনূছ আলী আকন্দ। এতে বলা হয়, ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও কলেজে এ পর্যন্ত চারবার অ্যাডহক ও দুবার বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রবিধানমালার ৫০ বিধি সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে হাইকোর্ট রুল দেন। ওই রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে ১ জুন রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে হাইকোর্ট ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও কলেজ পরিচালনায় গঠিত বিশেষ কমিটি অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করেন। পাশাপাশি নতুন অ্যাডহক কমিটি গঠন করে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।
হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে ৮ জুন চেম্বার আদালতে আবেদন করে ভিকারুননিসা স্কুল ও কলেজ কর্তৃপক্ষ। চেম্বার আদালত আবেদনটি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠান। ১২ জুন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন।
No comments:
Post a Comment