প্রসবের পরে মায়ের বুকে প্রথম যে দুধ আসে তাকে শালদুধ বলে। শালদুধ ঘন,
আঁঠালো এবং একটু হলুদ রংয়ের হয়ে থাকে। প্রসবের পরে প্রথম ২-৩ দিন যতটুকু শালদুধ আসে তাই নবজাতকের জন্য যথেষ্ট। জম্মের সাথে সাথে শিশুকে বুকের দুধ দিলে মায়ের প্রসবজনিত রক্তপাত বন্ধ হয। পরবর্তীতে রক্তস্বল্পতা হয় না। মায়ের গর্ভফুল পড়তে সাহায্য করে, জরায়ু তাড়াতাড়ি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। এ সময়
শিশুকে পানি বা চিনির পানি দেওয়া শিশুর জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এসব দিলে পাতলা পায়খানা হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। অন্যদিকে শিশুর বুকের দুধ খাবার আগ্রহ কমে যায়।
শিশুকে শাল দুধ খাওয়ানোর উপকারিতা গুলো হলো:
(১) শালদুধ শিশুর জন্য অত্যন্ত উপকারী এবং শিশুর জীবনের প্রথম টিকা হিসাবে কাজ করে ।
(২) শালদুধ আমিষ সমৃদ্ধ এবং এতে প্রচুর ভিটামিন-এ আছে।
(৩) এতে আছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ।
(৪) শালদুধ শিশুর পেট পরিষ্কার করে এবং নিয়মিত পায়খানা হতে সাহায্য করে।
(৫) শিশুর জন্ডিস হবার সম্ভাবনা কমে যায় ।
এছাড়া মায়ের দুধ শিশু ও মা দুজনের জন্যই খুবই উপকারি হলেও বিভিন্ন কুসংস্কার ও ভ্রান্ত ধারনার বশবর্তী হয়ে শিশুকে দুধ খাওয়ানো থেকে বিরত রাখা হয়। নতুন মায়ের শালদুধ নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা আর নয়, জেনে নিন পুষ্টিবিদের কাছ থেকে। আজ সেসব কুসংস্কার ও ভ্রান্ত ধারণা নিয়ে বলছেন পুষ্টিবিদ আদিবা ফারজিন। যে সকল ভ্রান্ত ধারণাকে আমলে নেওয়ার প্রয়োজন নেই একদম:
শিশুর জন্য যেসব ভ্রান্ত ধারণা পোষন করা হয়-
*শালদুধ শিশুর ক্ষতিকর এটি ফেলে দিতে হবে।
*শালদুধ অনেকক্ষণ মার বুকে থাকে তাই এর রং হলুদ।
*মার বুকের দুধ সাদা না হওয়া পর্যন্ত বাচ্চাকে খাওয়ান যাবে না।
*অসুস্থ বাচ্চাকে মায়ের দুধ খাওয়ান যাবে না।
*মায়ের দুধ হতে শিশুর এলার্জি হতে পারে।
*মায়ের দুধ শিশুর জন্য পর্যাপ্ত নয়।
*মায়ের দুধ পাতলা।
*শিশুর ডায়রিয়া হলে দুধ খাওয়ান যাবে না।
*বাচ্চাকে পানি খাওয়ানো দরকার।
*শিশুর চাহিদা পূরণের জন্য বোতলের দুধ খাওয়ান দরকার।
মায়ের জন্য যেসব ভ্রান্ত ধারণা পোষন করা হয়-
*মা দুধ খাওয়ানোর সময় কিছু বিশেষ খাবার যেমন মরিচ, মূলা, বাধাকপি ইত্যাদি খেতে পারবে না।
*মা ভয় পেলে বা রেগে গেলে শিশুকে দুধ খাওয়ানো যাবে না।
*অসুস্থ মা শিশুকে দুধ খাওয়াবে না।
*মা গর্ভবতী হলে শিশুকে দুধ খাওয়াতে পারবে না।
*দুগ্ধদানকারী মা সহবাস করলে দুধ খারাপ হয়ে যায়।
*দুগ্ধদানকারী মা ডাক্তারের পরামর্শ সত্ত্বেও কোন ওষুধ খেতে পারবে না।
সূত্র: বাংলাট্রিবিউন.কম
আঁঠালো এবং একটু হলুদ রংয়ের হয়ে থাকে। প্রসবের পরে প্রথম ২-৩ দিন যতটুকু শালদুধ আসে তাই নবজাতকের জন্য যথেষ্ট। জম্মের সাথে সাথে শিশুকে বুকের দুধ দিলে মায়ের প্রসবজনিত রক্তপাত বন্ধ হয। পরবর্তীতে রক্তস্বল্পতা হয় না। মায়ের গর্ভফুল পড়তে সাহায্য করে, জরায়ু তাড়াতাড়ি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। এ সময়
শিশুকে পানি বা চিনির পানি দেওয়া শিশুর জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এসব দিলে পাতলা পায়খানা হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। অন্যদিকে শিশুর বুকের দুধ খাবার আগ্রহ কমে যায়।
শিশুকে শাল দুধ খাওয়ানোর উপকারিতা গুলো হলো:
(১) শালদুধ শিশুর জন্য অত্যন্ত উপকারী এবং শিশুর জীবনের প্রথম টিকা হিসাবে কাজ করে ।
(২) শালদুধ আমিষ সমৃদ্ধ এবং এতে প্রচুর ভিটামিন-এ আছে।
(৩) এতে আছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ।
(৪) শালদুধ শিশুর পেট পরিষ্কার করে এবং নিয়মিত পায়খানা হতে সাহায্য করে।
(৫) শিশুর জন্ডিস হবার সম্ভাবনা কমে যায় ।
এছাড়া মায়ের দুধ শিশু ও মা দুজনের জন্যই খুবই উপকারি হলেও বিভিন্ন কুসংস্কার ও ভ্রান্ত ধারনার বশবর্তী হয়ে শিশুকে দুধ খাওয়ানো থেকে বিরত রাখা হয়। নতুন মায়ের শালদুধ নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা আর নয়, জেনে নিন পুষ্টিবিদের কাছ থেকে। আজ সেসব কুসংস্কার ও ভ্রান্ত ধারণা নিয়ে বলছেন পুষ্টিবিদ আদিবা ফারজিন। যে সকল ভ্রান্ত ধারণাকে আমলে নেওয়ার প্রয়োজন নেই একদম:
শিশুর জন্য যেসব ভ্রান্ত ধারণা পোষন করা হয়-
*শালদুধ শিশুর ক্ষতিকর এটি ফেলে দিতে হবে।
*শালদুধ অনেকক্ষণ মার বুকে থাকে তাই এর রং হলুদ।
*মার বুকের দুধ সাদা না হওয়া পর্যন্ত বাচ্চাকে খাওয়ান যাবে না।
*অসুস্থ বাচ্চাকে মায়ের দুধ খাওয়ান যাবে না।
*মায়ের দুধ হতে শিশুর এলার্জি হতে পারে।
*মায়ের দুধ শিশুর জন্য পর্যাপ্ত নয়।
*মায়ের দুধ পাতলা।
*শিশুর ডায়রিয়া হলে দুধ খাওয়ান যাবে না।
*বাচ্চাকে পানি খাওয়ানো দরকার।
*শিশুর চাহিদা পূরণের জন্য বোতলের দুধ খাওয়ান দরকার।
মায়ের জন্য যেসব ভ্রান্ত ধারণা পোষন করা হয়-
*মা দুধ খাওয়ানোর সময় কিছু বিশেষ খাবার যেমন মরিচ, মূলা, বাধাকপি ইত্যাদি খেতে পারবে না।
*মা ভয় পেলে বা রেগে গেলে শিশুকে দুধ খাওয়ানো যাবে না।
*অসুস্থ মা শিশুকে দুধ খাওয়াবে না।
*মা গর্ভবতী হলে শিশুকে দুধ খাওয়াতে পারবে না।
*দুগ্ধদানকারী মা সহবাস করলে দুধ খারাপ হয়ে যায়।
*দুগ্ধদানকারী মা ডাক্তারের পরামর্শ সত্ত্বেও কোন ওষুধ খেতে পারবে না।
সূত্র: বাংলাট্রিবিউন.কম
MD HELAL |