গর্ভকালীন সময়ে মায়ের চাই
বিশেষ যত্ন। মহিলাদের গর্ভধারনের পূর্বেই নিজের স্বাস্থ্য, গর্ভধারণ ও সন্তান পালন সংক্রান্ত বিষয়ে সচেতন হওয়া দরকার। কারণ একজন সুস্থ্য মা-ই পারে একটি সু্স্থ ও স্বাভাবিক শিশুর জন্ম দিতে। তাই গর্ভবতী মায়ের জন্য প্রয়োজন সঠিক যত্ন ও পরিচর্যা। অন্তঃসত্বা অবস্থায় খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে একটু সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। আজ আমরা জানবো গর্ভবতীর কি কি খাবার খাওয়া উচিত না সেই সম্পর্কে -
২. মদঃ গর্ভকালীন সময়ে মদ্যপান করলে গর্ভের সন্তানের স্বাভাবিক বিকাশ ব্যহত হওয়া সহ সমুহ বিপদের সম্ভাবনা থাকে।
৩. কিছু গভীর সমুদ্রের মাছঃ টুনা ফিশ, শার্ক সহ অনেক নোনা পানির মাছে মাত্রাতিরিক্ত পারদ জাতীয় রাসায়নিক পদার্থ বিদ্যমান থাকে যার বিষক্রিয়ায় গর্ভস্থ ভ্রুন নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
৪. কাঁচা মাংস, কাঁচা ডিম, কেক বাটার, বারবিকিউ, সুশী (জাপানী খাবার), মেইওনাস, কাঁচা ডিম দিয়ে তৈরি মিষ্টন্ন জাতীয় খাবারঃ এ সব খাবরে সালমোনিল্লা নামক রাসায়নিক উপাদান এবং ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে যা গর্ভের সন্তানের জন্য মঙ্গলকর নয়।
৫. অল্প রান্না করা মাংস অথবা সিদ্ধ করা মাংসঃ ভালভাবে রান্না না করলে মাংসে ক্ষতিকর ‘ই-কোলী ব্যাকটেরিয়া’ নষ্ট হয়না, যা গর্ভের ভ্রুনের জন্য বিপদজনক।
৬. অপ্রয়োজনীয় ঔষুধঃ গর্ভকালীন সময়ে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন ঔষধ খাওয়া উচিৎ না। অপ্রয়োজনীয় কোন ঔষুধ একদম খাওয়া ঠিক না
প্রশ্ন.১.গর্ভাবস্থায় ঔষধ সেবনে কোন বিধি নিষেধ আছে কি?
উত্তর. গর্ভকালীন সময়ে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন ঔষধ খাওয়া উচিৎ না। অপ্রয়োজনীয় কোন ঔষুধ একদম খাওয়া ঠিক না।প্রশ্ন.২.গর্ভবতী অবস্থায় কি কি করা যাবে না?
উত্তর.গর্ভবতী অবস্থায় যা করা যাবে না
- গৃহস্থালীর কঠিন কাজ যেমন-ধান মাড়াই, ধান ভানা, ঢেঁকিতে চাপা ইত্যাদি
- ভারী কোন কিছু তোলা
- দূরে যাতায়াত করা এবং ভারী কিছু বহন করা
- শরীরে ঝাঁকি লাগে এমন কাজ করা
- দীর্ঘ সময় কোন কাজে লিপ্ত থাকা
- ঝগড়া ঝাটি এবং ধমক দেয়া
- জর্দা, সাদা পাতা খাওয়া
- তামাক, গুল ব্যবহার করা
- ধূমপান বা অন্য কোন নেশা জাতীয় দ্রব্য গ্রহণ করা
- স্বাস্থ্য কর্মী বা ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন ঔষধ গ্রহণ করা
md helal
No comments:
Post a Comment